Monday, June 13, 2011

ট্র্যাজেডি - বৃক্ষের আর একটি ফল


প্রথম পরিচ্ছেদ
'বাসে' চড়ে বীণা রায়
চলেছেন বেহালায়
             পড়িতেছে টিপে টিপে বৃষ্টি;
আর কে চলেছে সাথে?
লক্ষ নাইক তাতে
              - পুস্তকে নিবদ্ধ দৃষ্টি
              (চলেছে গোবর্ধন মিত্র।)

নয়নের কিনারায়
এল যবে বীণা রায়
               ঝুমকো ঝুলায়ে দুটি কর্ণে;
চরনে নাগরা পরা,
শাড়িটি ঘাগরা - করা,
                সুর্মা মাখানো আঁখি - পর্ণে।
                 ( দেখিল গোবর্ধন মিত্র।)

এলো - খোঁপা চুলগুলি,
হাতে শুধু সরু রুলি,
                  কণ্ঠে চিকন চারু হার গো।
গালেতে লাগেনি চুন,
কিম্বা ধরেনি ঘুন,
                   পাউদার, ওটা পাউদার গো।
                    (বুঝিল গোবর্ধন মিত্র।)

বয়স কত বা হবে
সে কথা কেই বা কবে,
                    দেখিতে নেহাত রোগা তন্বী;
তবু ওই দেহ ঘিরে
দেখা যায় শিখাটিরে
                     ভিতরে জ্বলিয়াছে যার বহ্নি!
                     (তাতিল গোবর্ধন মিত্র।)

বদনের সদরেতে
রাঙা রাঙা অধরেতে,
                      ভদ্র হাসিটি আছে তৈরি;
চোখে যেন আছে ভাষা,
বুকে যেন আছে আশা,
                       স্বাস্থ্যটা শুধু তার বৈরী।
ভাষাহীন সে ভাষার,
সীমাহীন সে আশার,
                       মূর্তি দিবে সে কোন শিল্পী?
নহে এ তো সাধারণ,
দোকানের পুরাতন
                        চিরপরিচিত বাসি জিলাপি।
                        (আকুল গোবর্ধন মিত্র।)

এ যে বাঙ্গালির মেয়ে,
নব কালচার পেয়ে
                        চপ ও সুক্ত একসঙ্গে।
দাঁতগুলো চকচকে
ঠোঁটে রঙ টকটকে,
                         ধন্য করিছে এই বঙ্গে।
                         (মুগ্ধ গোবর্ধন মিত্র।)

সহসা কাটিল তাল,
ছিঁড়িল স্বপন - জাল,
                          মহাকাল করিলেন রঙ্গ।
'বাসে' 'বাসে' কলিশন
হয়ে গেল কি ভীষণ,
                           চট করে হল রসভঙ্গ।
                           (ব্যাকুল গোবর্ধন মিত্র।)